নাসির উদ্দিন।। প্রথমবারের ১১ প্রার্থিবের সদিচ্ছা প্রকাশের পর বলেছিলাম, প্রবল অনূভুতির বিবেক অবচেতনেও জেগে উঠে। নবযাত্রার ১১তম দিনের দ্বিতীয় সোপানে এসে সেই সদিচ্ছা প্রায় পৌণে একশো’তে পৌঁছেছে। শুধু কি তাই? দ্বিতীয়তে হয়েছে বৃত্ত পুরণ। এক কথায় আমি অভিভূত।
সৃষ্টিশীলতার এক অনন্য মেজাজ অনুরণিত হয়েছিল দ্বিতীয়তে। মাটির কথা’র বর্ষণ দেখেছি গত শনিবার। মাটির হয়ে কথা বলেছেন বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনন্য প্রতিভার প্রতিশ্রুতিশীল অথচ মানুষের প্রতি কমিটেড তরুণ নেতৃত্ব। তাদের উচ্চারিত শব্দমালায় সাগর অতলের চেয়েও গভীরতা ছিলো। ছিলো ভয়ডরহীন সততা আর সরলতার অতুলনীয় মিশেল। হাতে তৃতীয় পা, অথচ কি তারুণ্য কর্মজীবন শেষ করা সত্তরোর্ধ্বের ভাষায়। শ্রদ্ধেয়দের তারুণ্য আর তারুণ্যের দুর্নিবার সততা কি অভূতপূর্ব বৃত্ত পুরণ। মাঝখানে দাঁড়িয়ে আমরা ঈষৎ ইতস্তত মধ্যবর্তীরা। যাদের পদতলে নিশ্চিত শক্ত জমিন আর সামনে মহাসমুদ্রের অতল তরঙ্গ।
কিন্তু মধ্যবর্তীরাও হারেনি। তাদের সাহসী উচ্চারণে বৃত্ত পূর্ণতা পেয়েছে। গড়ে উঠেছে মুক্তির পথে চলার শৃঙ্খল। এ শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে আমরা রচনা করতে চাই মুক্তির পথ। সরাতে চাই নাগরিক অসুবিধার বৈরী সকল জঞ্জাল। নাগরিক অধিকার আমাদের সর্বোচ্চ এবং একমাত্র বিবেচনা। সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার, যানজট নিরসন, নদী নালা খাল দখলমুক্ত করণ, গোমতী নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের ব্যবস্থা করা, গ্যাস সংযোগ প্রদান, কৃষকের অ-কৃষি মূলক বাধা দূর করা, মাদক মুক্ত অঞ্চল নিশ্চিত করণ, চাঁদার নামে শ্রমিক নিপীড়ন বন্ধ করা এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মানোন্নয়নের ব্যবস্থাকল্পে অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের কথাগুলো বলার জন্য আমরা অচিরেই সোচ্চার হবো। এই অঙ্গীকার নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছি। এরপরই আমরা মানুষের মুখোমুখি হবো। আমরা এখনো একটা শুভসূচনার বা একটা ভ্রুণ জন্ম দেয়ার কাজ করছি। আশাবাদী এই কাজে সফল হবো।
লেখকঃ সাংবাদিক ও উদ্যোক্তা।
Leave a Reply