নিউজ ডেস্ক।। কুমিল্লা মহানগরীর যুবলীগ কর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে জিলানী হত্যা মামলার প্রধান আসামি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আতাব উল্লাহ তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম জানান, যুবলীগকর্মী জিলানী হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি কাউন্সিলর আবুল হাসান দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। এরই মাঝে তিনি উচ্চ আদালত থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে লাভ করেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার তিনি জেলা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর পূর্বে, এ হত্যা মামলার এজাহারনামীয় দুই নম্বর আসামি কুসিকের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুস সাত্তারকে গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকার শাহবাগ এলাকা থেকে গ্রেফতারের পর জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গত সোমবার সন্ধ্যায় জিলানী হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে রিমান্ডে আনার আইনগত পদক্ষেপ নেব। এছাড়া পলাতক অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বাদী ইমরান হোসেন চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘এ মামলার প্রধান দুই আসামি কাউন্সিলর হাসান ও সাত্তার গ্রেফতার হলেও তাদের সহযোগী পলাতক আসামি ও তাদের লোকজন মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হুমকি অব্যাহত রেখেছে। তিনি অবিলম্বে মামলার সব আসামিদের গ্রেফতার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, চৌয়ারা বাজারে আধিপত্য ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে গত বছরের ১১ নভেম্বর সকালে সন্ত্রাসীরা যুবলীগ নেতা জিলানীকে নগরীর চৌয়ারা পুরাতন বাজার এলাকায় পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে ২৪ জনকে আসামি করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় কাউন্সিলর আবুল হাসানকে ১ নম্বর ও আবদুস সাত্তারকে ২ নম্বর আসামি করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই।
Leave a Reply