✍ আফসানা আফরোজ জুঁই।।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে আলোচিত বষয়টি হচ্ছে করোনার ভ্যাক্সিন। সবাই অপেক্ষায় আছে ভ্যাক্সিন কবে আসবে। করোনার জন্যে আমাদের স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে আছে। লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে, প্রতিদিন বহু মানুষ মারা যাচ্ছে করোনায়। আমাদের দেশের স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলতে পারছে না। এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা হচ্ছে না, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বড় রকমের সেশন জট তৈরি হতে যাচ্ছে। দীর্ঘ লক ডাউনে মানুষের শারীরিক ও মানসিক নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
এমতবস্থায় সবচেয়ে প্রতীক্ষিত জিনিস হলো করোনার ভ্যাক্সিন। একমাত্র ভ্যাক্সিনই পারে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দিতে।বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। এদের অনেক গুলোই দ্বিতীয় ধাপ পার করে গেছে, তৃতীয় ধাপ সফল হলে সে ভ্যাক্সিন মানবদেহে নেওয়ার উপযোগী বলে বিবেচিত হবে। এরই মধ্যে রাশিয়া প্রথম করোনা ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের দাবী করছে। তা নিয়ে আমরা সবাই অনেক উচ্ছ্বসিত, অবশেষে হয়তো আমাদের সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে। তবে রাশিয়ার আবিষ্কৃত ভ্যাক্সিনটি ঠিক কতটুকু গ্রহনযোগ্য তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ কোনো ভ্যাক্সিন আবিষ্কারের পর তার গ্রহণযোগ্যতা বোঝা যায় প্রকাশিত জার্ণালের মাধ্যমে। ভ্যাক্সিনের সবকিছু স্পষ্ট ভাবে জার্ণাল আকারে প্রকাশ করা হয় যাতে করে সারা বিশ্বের সকল বিজ্ঞানী ও মানুষেরা সেই ভ্যাক্সিন সম্পর্কে জানতে পারে এবং নিশ্চিন্তে সেই ভ্যাক্সিন গ্রহণ করতে পারে। রাশিয়া তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাক্সিন নিয়ে কোনো জার্ণাল এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি। তাই আমাদের মনে একটা প্রশ্নই থেকে গেলো তাদের ভ্যাক্সিন নিয়ে।
সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির আবিষ্কৃত কোভিড ১৯ মানবদেহের জন্যে নিরাপদ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও সারাবিশ্বে সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী এখন পর্যন্ত ১৭৩ টি উদ্যোগ চলছে করোনার ভ্যাক্সিন বানানোর। ১১ টি সেকেন্ড ট্রায়ালে চলছে আর ৩ টি টিকা এখন থার্ড ট্রায়ালে আছে। তৃতীয় ধাপ সফলভাবে পার করে এলে হয়তো আমাদের বহুল প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে আর আবার আমরা ফিরে যেতে পারবো আমাদের স্বাভাবিক জীবনে।
লেখকঃ উন্নয়নকর্মী।
Leave a Reply