✍ খাদিজা মিতু।।
অসহ্য খরতাপে যখন শরীর জলসে যাচ্ছিলো ঠিক তখনি আঁকাশের বিদ্যুৎ চমকানো বার্তা (বৃষ্টি আসবে)
সময়ের মাথায় ঠিক এসে পৌছালো অপেক্ষিত বৃষ্টি,
জানালা দিয়ে দেখি ঝিরিঝিরি শব্দ সেটা আমায় জানিয়ে দিলো।
অনেক আগে থেকে বৃষ্টির প্রতি আমার ছিলো শত,হাজার লক্ষাদিক,অনুভূতি যা আমার মনে এক স্বার্থপরি জন্ম দিয়েছিলো,
এখন ঘড়িতে সম্ভবতঃ দুপুর দুটো বাজে, বিদ্যুতের চোখ ধাধানো আলোর ঝিলিক। মেঘের গর্জন- গুরু গুরু করে মেঘ ডাকছে। চারদিকের এই পরিবেশ দেখে মনে হলো, যান্ত্রিক বাস্তবতার জগৎ থেকে কে যেন আমায় ছিনিয়ে নিয়ে চলছে এক মোহময় স্বপ্নের জগতে। এই অনুভবের স্বাদ বুক ভরে গ্রহণ করা যায়। স্মৃতির মনিকোঠায় সযত্নে লালন করা যায়, কিন্তু এই অনুভূতির কথা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না!
অবশেষে,
চলে গেলাম বৃষ্টির ঠিকানায় নিজেকে তাহাতে উৎসর্গ করবো বলে, ভিজে যাচ্ছি আমি কিন্তু ভিজছেনা আমার ঐ তপ্ত মন, চোঁখে নোনাজলের উঁকিঝুঁকি বৃষ্টির কোমলে মিশে একাকার!
আজ আমার মন উদাস হচ্ছে, ভালো লাগছে। মনের কোনে গুনগুনিয়ে গান গাইছে ;
“আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদর দিনে
জানি নে, জানি নে
কিছুতে কেন যে মন লাগে না।।
আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদর দিনে।
এই চঞ্চল সজল পবন-বেগে
উদ্ভ্রান্ত মেঘে মন চায়
মন চায় ঐ বলাকার পথখানি নিতে চিনে ।।
আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদর দিনে।”
বৃষ্টি এমন এক নেশা যা স্নিগ্ধতার সাথে অনুভব করতে হয়। চারপাশটা কি যে খরতা ছিলো। মুহুর্তের মধ্যেই সবকিছু সতেজ হয়ে গেল। শরীর এবং মন সবকিছুই একমাত্র বৃষ্টিই পারে সতেজ করে দিতে।
এতো মাদকতা, এতো স্নিগ্ধ, এতো মায়াবী, বৃষ্টি তোমার হাজারটা রুপ আমার চোখে ভাসমান। এই বর্ষনমুখোর দিনে আমার মন খারাপ লাগলেও নিজের অজান্তেই মনটা ভালো হয়ে যায়। একটু গুনগুনিয়ে গানও গাই, সেই সঙ্গে মনের পাতায় ভেসে ওঠে সেই ছোট্ট বেলার স্মৃতিঘেরা ছবি। তাই, এই মনো মুগ্ধকর বৃষ্টি একটু ছুয়ে দেখার উপলব্ধি অন্যরকম।
যতোদূর দৃষ্টি যায় আকাশে মেঘের জাল বোনা,,,,,
প্রকৃতি নিথর নিস্তব্ধ,,,,,
ঝমঝম করে অজস্র ধারায় বৃষ্টি ঝরছে,,,,,
লেখকঃ কবি ও প্রাবন্ধিক।
Leave a Reply